গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত চার জনের দাফন ও সৎকার ময়নাতদন্ত ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তাদের কারও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতরা হলেন- রমজান কাজী (২৪) ও সোহেল রানা (৩৫), ইমন তালুকদার (১৬) ও দীপ্ত সাহা (২৮)। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে দীপ্ত সাহাকে গত বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। রমজান কাজীকে গত বুধবার রাতে এশার নামাজের পর দাফন করা হয়। সোহেল রানা ও ইমন তালুকদারকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, চার জনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিন জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সারা দেশে মাসব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে গত বুধবার গোপালগঞ্জে যান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তারা এটিকে ‘লং মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ হিসেবে নামকরণ করেন। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এটি প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর গোপালগঞ্জে যাওয়ার পথে পথে বাধা পায়। সকালে পুলিশ এবং ইএনওর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের দায়ী করা হয়। দুপুরে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। হামলার কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছান এনসিপির নেতারা। তারা সেখানে স্লোগান ও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে তারা মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে তাদের গাড়িবহর ঘিরে হামলা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনসিপি নেতাদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে এখন পর্যন্ত চার জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
